দোস্ত খাড়াও আমি আইতাছি
লিখেছেন লিখেছেন আমীর আজম ২৯ জুলাই, ২০১৩, ১১:৩৩:৫১ রাত
আর ভাল লাগছে না। বুকের বা পাশটা কেন
জানি চিনচিন করছে।
চিন্তা ভাবনা গুলো সব
এলোমেলো হয়ে গেছে। বুকের
ভেতরটা ফাঁকা হয়ে আসছে।একটু পরপরই
বিশাল একটা করে দীর্ঘশ্বাস
বেরিয়ে আসছে।
কারণ কি?
বাড়িতে যাওয়ার জন্য কি এরকম হচ্ছে।
না তা তো হতে পারে না। প্রায়
প্রতি মাসেই একবার করে বাড়িতে যাওয়ার
চেষ্টা করি। কোন বার তো এরকম হয় না।
নাকি অন্য কোন কারণ আছে?.............
হ্যাঁ পেয়েছি। অনেক দিন পর
দেখা হতে যাচ্ছে বন্ধুদের সাথে। সবার
সাথে দেখা একসাথে আড্ডা ভাবতেই জ্বিবে জল
আসছে। অনেকের সাথে বিভিন্ন
সময়ে বিচ্ছিন্ন ভাবে হয়তো দেখা হয়েছে।
কিন্তু সবাইকে একসাথে পাওয়া ...............
ইস প্রায় এক বছর পর।
অনেক কেই বলতে শুনি অমুক আমার বেস্ট
ফ্রেন্ড তমুক আমার বেস্ট ফ্রেন্ড। কিন্তু
আমি তো কোনদিন কাউকে বলি নাই
যে সে আমার বেস্ট ফ্রেন্ড। তাহলে কিসের
এত আকর্ষণ।
তাহলে কি আমার কোন বেস্ট ফ্রেন্ড
নাই? .......হ্যাঁ আছে। কিন্তু আমাদের
বন্ধুত্বকে বেস্ট ফ্রেন্ড নামক একটা সীমিত
গন্ডির ভিতরে আবদ্ধ রাখা সম্ভব হয়
নাই। বেস্ট ফ্রেন্ড এর
সীমানা ছাড়িয়ে এটা চলে গেছে আরও অনেক
দূর। কোন লেখকের পক্ষে সম্ভব নয় এই
বন্ধুত্বকে ভাষায় সজ্ঞায়িত করা। প্রায় 50
থেকে 60 জন এতগুলো ছেলে সবাই সবার
সাথে আত্মার সম্পর্ক
এটা সত্যি অবিশ্বাস্য।
হ্যাঁ আমাদের ভিতর হয়তো মত বিরোধ হয়
এবং হয়েছে। কিন্তু এটা কখনোই আমাদের
বন্ধুত্ব কে কলুষিত করতে পারে নাই,
আশা করি কোনদিন পারবেও না।
যখন ছোট ছিলাম তখন বড় ভাইয়া আপুদের
কাছে শুনতাম ছোটবেলার বন্ধুরাই আসল
বন্ধু। এরকম বন্ধু আর কোনদিন হবে না।
তখন বুঝতাম না। কিন্তু এখন ফিল করি।
সত্যি অন্তর দিয়ে ফিল করি।
এখন যদি কোন বন্ধুর সাথে কারও পরিচয়
করে দেই তাহলে ভাষা খুঁজে পাই না।
কি বলে বুঝাই এ বন্ধুত্বের গভীরতা। তাই
বাধ্য হয়ে বলি, "এ হল আমার ন্যাংটু কালের
ফ্রেন্ড। " তাও মনে হয় কোথায়
জানি একটা অপূর্ণতা থেকে।
এ লেখাটা যখন লিখছি আমার গায়ের
সবগুলো লোম একসাথে দাড়িয়ে গেছে।
আমি আর পারছি না।
দোস্ত খাড়াও আমি আইতাছি।
বিষয়: বিবিধ
১২৪৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন